মঙ্গলবার দুপুরে পলাশে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রথমবার রপ্তানির এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো.আনোয়ারুল আশরাফ খান, বাণিজ্য সচিব ড. মুহাম্মদ জাফর উদ্দিন, নৌ-পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বাংলাদেশ: তাপস
বিআইডব্লিউট ‘র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক (জি), এনডিপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় রাজৈতিক ব্যক্তিরাসহ অন্যনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পণ্যবোঝাই জাহাজটি নরসিংদীর শীতলক্ষ্যা থেকে যাত্রা শুরু করে নারায়ণগঞ্জ হয়ে খুলনার শেখবাড়িয়া দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে এবং কলকাতার বন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে। ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জাহাজটির গন্তব্যে পৌঁছাতে আট দিন সময় লাগবে। সড়কপথের চেয়ে নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ ৩০ শতাংশ কম। সড়কপথে অনেক জায়গায় রাস্তা খারাপ হওয়ায় পণ্য নষ্ট কিংবা পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু নৌপথ এক্ষেত্রে নিরাপদ।
আরও পড়ুন: সরকার শিল্প খাতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে: মন্ত্রী
উনিশ শতকের শেষ দিকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ও ভারত সরকার উভয় দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় বাণিজ্য এবং ভারত থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ অতিক্রমনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের 'প্রোটকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্জিট এন্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিএন্ডটি) স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পাক ভারত যুদ্ধের কারণে এ চুক্তি স্থগিত করা হয়। স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর পুনরায় চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রাণ গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রাণ গ্রুপের রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। তখন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় যায় প্রাণ চানাচুর। সেখান থেকে এখন ভারতের ২৮টি রাজ্যের প্রতিটিতেই প্রাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। স্থলপথে ২৫ হাজার কার্টন লিচি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রায় ২৫ টি ট্রাক প্রয়োজন হতো। আগামীতে নৌযানের মাধ্যমে ১২০০ মেট্রিকটন পণ্য পরিবহন করা সহজ হবে। যার জন্য প্রয়োজন ৭০ থেকে ৭৫ টি ট্রাক।