বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী সংগঠন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশের কাস্টমস বন্দর ও ব্যবসায়ীদের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমানের জানান।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুজ্জামান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় তিন মাস ধরে এ পথে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অনান্য দিনের মতো শুক্রবারও সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, সপ্তাহে ৭ দিন বাণিজ্য সচল রাখতে হলে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শুক্রবার খোলা রাখতে হবে। কারণ, পণ্য চালান ও খালাসের সময় এসব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের রাজস্বের টাকা ও পণ্য ছাড়করণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লেনদেন করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকার কারণে বন্দর খোলা রেখেও ব্যবসায়ীদের কাজে আসে না।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৭ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় এবং রপ্তানি বাণিজ্য থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মোহাম্মদ মামুন তরফদার বলেন, আমরা সপ্তাহে ৭ দিনই বন্দর খোলা রেখেছি। আমদানি রপ্তানি শুরু হলে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হবে।
বন্দর থেকে যদি কেউ পণ্য খালাস করতে চায় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।