সংঘর্ষের সময় রবিবার বিকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশসহ আটজন আহত হন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি
বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মী সরোয়ারকে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের অভিযোগ, দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের কর্মী ও সমর্থকরা নৌকা মার্কার মিছিলে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তৈয়বুর রহমান বলেন, নৌকা মার্কার মিছিল থেকে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় তার কর্মী সরোয়ার গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে নৌকা মার্কার একটি মিছিল চৌরাস্তা হয়ে সরকারি ডিগ্রি কলেজ রোড দিয়ে যায়। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের কার্যালয় অতিক্রমকালে উভয় প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলে।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: মাগুরায় কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ
ঘটনাটি জানাজানি হলে উভয় প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সময় সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন বলে পুলিশ দাবি করছে।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচনে বিএনপিকে ভোটাররা প্রত্যাখান করেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের ইটের আঘাতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে এখনও কেউ মামলার জন্য থানায় আসেননি।’