বাংলাদেশেও দ্রুত শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কাকার মত পরিস্থিতি হতে বাধ্য। কারণ হচ্ছে একইভাবে এখানকার অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে, এখানে ঋণ এত বেশি গ্রহণ করা হয়েছে যে, ইতোমধ্যে ঋণের বোঝা জনপ্রতি ৪৭২ ডলার। ওখানকার মত পরিস্থিতি এখানেও দেখা দেবে, মুদ্রাস্ফীতি এত বাড়বে যে, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
১৩ মে (শুক্রবার) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর খাগড়াবাড়িতে ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা আমার নির্বাচনী এলাকা। এখানে গত ১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে একদলীয় নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়। আমরা প্রতি বছরই চেষ্টা করি এ সকল পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এ হত্যাযজ্ঞ প্রমাণ করে যে, সরকার সম্পুর্ণ বল প্রয়োগ করে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিজের মত করে নিতে চায়।
ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় একটি কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলে আসছি, নির্বাচন হতে হবে জনগণের ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে। তারা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে সুযোগ করে দিতে হবে। এ কারণে অতীতের ঘটনা থেকে আমরা দেখেছি যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, সে কারণে এবারও দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। যাতে করে প্রকৃতপক্ষে জনগণের প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হন, এটাই হচ্ছে জনগণের দাবি। এটাই হচ্ছে এদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের একমাত্র পথ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আ’লীগের লোকেরা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে, লুট করেছে। এ সকল লোকজনকে তারা বাদ দিতে চান। এই লোকগুলো তাদের দলে আছে এটা স্বীকার করার মাধ্যমে উনি মেনে নিয়েছেন আ’লীগ এ কাজগুলোর সাথে জড়িত। আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি আ’লীগের এ সকল লোকেরা বাংলাদেশকে শেষ করছে, লুট করছে, তারা বাংলাদেশকে একটা ভঙ্গুর অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন , বাণিজ্যমান্ত্রী টিপু মুনসি নিজে একজন বড় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তার সুনিদিষ্ট ধারণা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করার মানেই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
তিনি বলেন, ‘আজকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির যে চিত্র আমরা দেখতে পাই তাতে স্পষ্ট করে বোঝা যায়, সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদেই এবং তাদের সহযোগিতায় এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাদের নিজেদের সিন্ডিকেটরাই আজকে এর জন্য দায়ী। আমরা এ কারণে আগেই বলেছি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বানিজ্যমন্ত্রী সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির