নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ভাঙচুরের ঘটনায় সরকার জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, ৩ এপ্রিল এক নারীসহ হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের আটকের পর সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হামলায় জাতীয় পার্টি বা তাদের কোনো নেতা-কর্মীই জড়িত নন।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য: জাপা সভাপতি
তবে, তারা বলেছেন, জাতীয় পার্টির সোনারগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ এবং সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি এবং পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক আহমেদকে 'মিথ্যা' মামলায় জড়িত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 'এছাড়াও আমাদের কমপক্ষে আরও ৩৫ জন নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।'
জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা সরকারের কাছে রউফ ও ফারুককে অবিলম্বে মুক্তি এবং তাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেছেন, এই পবিত্র রমজান মাসে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থাকতে পারছেন না। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও পুলিশ প্রতি রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
জিএম কাদের ও বাবলু আরও বলেন, অবিরাম পুলিশি অভিযানের কারণে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করা এক নারীসহ আটক হন।
কয়েক ঘণ্টা পর হেফাজতের একদল নেতা-কর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন রিসোর্টটিতে হামলা চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।