বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২।
মতিন খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) সভাপতি বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২।
মতিন খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) সভাপতি বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খসরুকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
এর আগে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বীর মুক্তিরযোদ্ধা আবদুল মতিন খসরু স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি খসরু, সম্পাদক কাজল নির্বাচিত
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন কুমিল্লা-৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি এ বছর ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি’র (এসসিবিএ) নির্বাচিত হন।
‘একটি অপূরণীয় ক্ষতি’: প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে অনেকেই শোক জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদের অওনেক সদস্যরা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও জনমানুষের নেতা হিসেবে মতিন খসরু চিরদিন মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উত্তরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একজন জননেতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিককে হারালাম যিনি জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলায় আইনজ্ঞ হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত আব্দুল মতিন খসরু আইসিইউতে
এক শোক বার্তায় ড. মোমেন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু আমার ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পাঁচবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যের অবদান এদেশের জনগণ চিরকাল অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। তার মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে হারাল।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আবদুল মতিন খসরু আইন অঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র।’
‘তিনি যেমন একজন আদর্শ আইনজীবী ছিলেন তেমনি আইনজীবীদের জন্য একজন অনুকরণীয় ও প্রেরণাদায়ী আদর্শ নেতায় পরিণত হয়েছেন। তার মৃত্যু শুধু আইন অঙ্গনেই নয়, পুরো দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার কর্ম ও নেতৃত্বগুণেই তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে চির সমুজ্জ্বল হয়ে বেঁচে থাকবেন,’ শোকবার্তায় বলেন তাপস।