ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা এবারের বিজয় দিবসের শপথ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে একটি অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি। এবার বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেব।’
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে: তোফায়েল
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শের প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করব না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি।’
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারাও এ শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অংশ নেন।
এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকালে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
দিবসটি পালনে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিণতি পায়।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান এবার উন্মুক্ত স্থানে নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনিতে শুরু হয় বিজয়ের উৎসব। চলতি বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বিজয়ের এ উৎসব বড় পরিসরে উদযাপনের কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তা হচ্ছে না।
এবার বিজয় দিবসের দিন জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ (প্যারেড) হয়নি। সেই সাথে প্রতিবারের মতো এবার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতেও যাননি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামিম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: আজ বিজয়ের দিন, সুবর্ণজয়ন্তীর সামনে বাংলাদেশ
বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতেই রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা সংগঠনও সীমিত আকারে হলেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: ইবিতে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলিস্থলে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ