বুধবার রাত ৮টায় চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের বদরপুর বাজারের কৃষি ব্যাংক শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ব্যাংক লুটকারী ও ঋণ খেলাপিদেরও গ্রেপ্তার করুন: প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপি
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- ব্যাংকের দ্বিতীয় কর্মকর্তা নওশের আলী (৫৫), ক্যাশ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান (৩১), কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম (৩২), নিরাপত্তা প্রহরী আমির হোসেন (৩২)।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় বুধবার কাজের চাপ বেশি ছিল। ব্যাংকে আমরা তিনজন কর্মকর্তা ও একজন প্রহরী কাজ করছিলাম। আনুমানিক রাত ৮টার দিকে আমার চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে বমি বমি ভাব লাগছিল। এসময় দেখি বাকিরা কেউ টেবিলেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে, আবার কেউ বমি করছে। এর পরে আমি আর কিছুই বলতে পারবো না।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
ব্যাংক ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্যাংক থেকে বের হই। তখন বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চলছিল। রাত ৮টার দিকে নৈশ প্রহরী রফিকুল ইসলাম এসে দেখেন নিরাপত্তা প্রহরী আমির হোসেন বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। ভেতরে গিয়ে দেখেন বাকিদেরও একই অবস্থা। তাৎক্ষণিক আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’
আরও পড়ুন:মাকে হত্যা করে বাবা জেলে: ২ শিশুর পাশে কুমিল্লা পুলিশ
তিনি আরও বলেন, বুধবার বিকাল থেকে বদরপুর বাজারের পাশে একটি মাহফিল চলছিল তাই সন্ধ্যার পর বাজার অনেকটাই জনশূন্য ছিল। আমরা ধারণা করছি, অজ্ঞান পার্টি কোনো বিষক্রিয়া প্রয়োগ করে সকলকে অচেতন করে লুট করার চেষ্টা করেছিল। যথা সময়ে আমাদের ব্যাংকের নৈশ প্রহরী আসায় সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ব্যাংকের কোনো প্রকার ক্ষতি হয়নি।
চান্দিনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জানান, যে চারজনকে অচেতন অবস্থায় আনা হয়েছে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে তাদের অজ্ঞান হওয়া ও বমি করার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লুটের কোনো আলামত পাইনি। আহতদের সাথে পৃথকভাবে কথা বলেছি। যারা বমি করেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ, পথচারীদের ভোগান্তি