রোগীর চাপ বাড়ায় জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা। আক্রান্ত শিশুদের দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আগুনে কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু
প্রতিদিনই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেকে হাসপাতালের বেড খালি না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। রাতে ঠান্ডা ও দিনে গরমসহ আবহাওয়ার এমন তারতম্যের কারণে রোগীর পরিমান বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ শিশু।
পাহাড়ি এলাকায় ঠান্ডার প্রকোপে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশীর ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের স্বজনরা বলেন, 'বাচ্চারা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। নিউমোনিয়া, ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে ৩-৪ দিন রাখার পর সুস্থ চ্ছে।’
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স পারমি চাকমা বলেন, ‘সিজন পরিবর্তনের কারণে রোগীর প্রকোপ বেড়েছে। জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫টি শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে। বেড খালি না থাকায় অনেকে বারান্দায় চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে ৩টি শিশু মারা গেছে।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের নেপথ্য কারণ ‘উদঘাটন’
চিকিৎসকরা জানান, অনেক সময় অভিভাবকদের গাফিলতির কারণে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ রাজেন্দ্র ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, 'অনেক সময় অভিভাবকরাও দেরি করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এতে অনেক রোগীকে বাঁচানো কষ্টকর হয়ে ওঠে।'
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪ থেকে ৫শ’ রোগী সেবা নিচ্ছে। সামনে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।