টানা আট মাস অনাবৃষ্টি, মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহ, গরম বাতাসের ঝড়ো হাওয়া ও প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা না থাকায় খুলনায় এবার বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়নি। ধান মাড়াইয়ের পর ১০ শতাংশ চিটে পাওয়া যাচ্ছে। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি হয়েছে হাইব্রীড জাতের।
কর্তৃপক্ষ আশাবাদী ছিলেন মৌসুমে খুলনা জেলায় ২ লাখ ৫৭ হাজার মেট্টিক টন ধান উৎপাদিত হবে, তা হয়নি।
খুলনা জেলায় এ মৌসুমে ৫৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল। আবাদ হয় ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ডুমুরিয়া জেলায়, ২১ হাজার হেক্টর জমিতে।
আরও পড়ুন: কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে ধান কাটলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক
কৃষি কর্তৃপক্ষ ২ লাখ ৫৭ হাজার মেট্টিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে। ইতোমধ্যেই ধান কাটা শেষ হয়েছে। অল্প-স্বল্প মাড়াই বাকি। প্রতি হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান ৪.৯৬ মেট্টিক টন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ৪.৯৫ মেট্টিক টন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, টানা আট মাস অনাবৃষ্টি। বোরো সেচের ওপরেই নির্ভরশীল। বীজতলা থেকে শুরু করে মার্চ পর্যন্ত ভূ-গর্ভের পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। কালবৈশাখীর ঝড়ে ১১০ হেক্টর জমির বোরো আক্রান্ত হয়। দাপদাহ জনিত কারণে ১৯ হেক্টর জমির বোরো ফসল ক্ষতি হয়। পুরো মৌসুমে বোরো ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহনশীল। গত মাসে খুলনায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বয়ে যায়। সবমিলিয়ে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
জেলায় হাইব্রীড জাতের বোরো আবাদের পরিমাণ বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে। জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।