১৯ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ হাসানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাটির নিচ থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার জাহিদ খানজাহান আলী থানার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের কাওসার মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খানজাহানআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমার দাসের নেতৃত্বে পথেরবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কামরুল হুদা নাঈম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর সাজা হওয়ার পর থেকে জাহিদ ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক ছিলেন।
অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ পরিদর্শক পলাশ কুমার দাস জানান, জাহিদ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান এবং ২০০৪ সালে যশোরের অভয়নগর থানায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর লাশ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
জাহিদ হাসান ভারতে চার বছর পলাতক থাকেন। বাংলাদেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। সর্বশেষ তিনি পুনরায় খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় ভিন্ন একটি গ্রামে আত্মগোপন করে থাকেন এবং তার নিজের নামসহ পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করেন।
একইসঙ্গে বেশভূষার কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করতে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
ভারতে ‘পাচারকালে’ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে নাটোরের এক গৃহবধূ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২