চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বুধবার থেকে কর্মবিরতির কারণে কোনো ওয়ার্ডে যোগ দেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চমেক ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচ জন আহত হন। এর মধ্যে চমেকের ৫৭ ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমান এবং ডাক্তার ওসমান গনি। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হন। এর জের ধরে বুধবার থেকে কোনও ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ফলে করোনাকালীন এ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসা হাসপাতালের রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চমেক ছাত্রলীগের নাছির ও নওফেল গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বৈঠকে বসেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিএমপির উত্তর বিভাগের ডিসি এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই বৈঠক অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে। ফলে কর্মবিরতি চলবে বলে জানায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়শনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান অয়ন বলেন, ‘আমরা স্যারদের সাথে বৈঠকে তিনটি দাবি দিয়েছি। তারা তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি। তাই আমরাও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ধুনটে ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে কোনোটাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেয়নি। এনিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতাল প্রশাসনের মধ্যে একটি বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি।