সাজাপ্রাপ্ত ফরিদা বেগম শহরের বেজপাড়ার মিনুর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের স্ত্রী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক টিএম মুসা বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারে যুক্ত বাংলাদেশির কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত ফরিদা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার খরিচাডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধৃকে ২০০৯ সালের ১৩ জুন ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরির প্রলোভন দেখান ফরিদা। প্রস্তাবে রাজি হলে ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফরিদা তার সহযোগীদের সহায়তায় ভারতের পুনে শহরে নিয়ে বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন: নারী ও শিশু পাচার রোধে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ওই গৃহবধূর সাথে তার পরিবারের লোকজন কথা বলতে চাইলে ফরিদা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের লোকজন গৃহবধূর সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ফারিদা তাকে ভারতে পাচার করে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২০ জুন গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে মানবপাচার দমন আইনে যশোর কোতোয়ালি থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় সবাইকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তাছলিমা।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় মানবপাচার: হাইকোর্টে অভিযুক্ত পারভেজের জামিন
সরকারপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) সেতারা খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর দেশে ফিরলের ভারতে পাচার হওয়া ৪ তরুণী
মামলার অপর তিন আসামি- ফরিদার স্বামী রেজাউল ইসলাম, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আসলাম শেখের স্ত্রী নিলুফা ও বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের এরশাদ আলী মোড়লের ছেলে আফেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত।