আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের অভিযোগে জাবিতে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:জাবিতে হলে হলে চলছে প্রভোস্টদের অভিযান
আদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ-২০১৮ এর ৩ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়। সিন্ডিকেট সভার পর থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন:জাবিতে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
আদেশে বলা হয়, গত বছরের ১৮ নভেম্বর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদনপত্রে বিভাগের সভাপতির স্বাক্ষর ও সিলমোহর জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মিখা পিরেগু বলেন, ২০১৭ সালে আমি একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় সভাপতির সিল ও স্বাক্ষরসহ আবেদন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে জমা দিয়েছিলাম। বিভাগ থেকে মিটিং করেই এটা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু উপাচার্য অফিস থেকে কোনো কারণ ছাড়াই এটি অনুমোদন না করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়। শীতকালীন ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমি প্রথমবার জমা দেয়া মূল কপির ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জাবি শিক্ষক বরখাস্ত
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত রিভিউয়ের জন্য আমি আবেদন করেছি। রিভিউ প্রক্রিয়াটি চলছে।’
মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন বলেন, ‘আমি ওই সময় বিভাগের সভাপতি ছিলাম না। তবে যতটুকু শুনেছি বিভাগ থেকে তার আবেদনপত্রটি ফরোয়ার্ড করা হলেও উপাচার্যের ফাইনাল অনুমদনের সময় এটি বাতিল হয়ে যায়। তাকে আবার আবেদন দিতে বলা হলে তিনি যে আবেদনটি করেন সেটা বিভাগের সুপারশি ছাড়াই। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে ওই আবেদনপত্রে উনি যে তারিখ দিয়েছেন ওই তারিখে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি (নাঈমা আহমেদ) ছুটিতে ছিলেন।’
আরও পড়ুন:৬ দফা দাবি জানিয়ে জাবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
উল্লেখ্য, মিখা পিরেগু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি।