সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের এক বিএনপির নেতাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও দুইজন। শুক্রবার ৮ টার দিকে স্থানীয় আন্ডারচর ইউনিয়ন এর তালতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই আমিনুল হক জানান হারুনুর রশীদ মোল্লা আন্ডারচর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। কিছু দিন আগে হারুন এর ছেলে সজিবের সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের অস্ত্রধারী ক্যাডার।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ১৪ লাখ ছাড়াল
ওই ঘটনার জের ধরে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর থেকে সজিবকে খুঁজতে থাকে। এই খবর পেয়ে সজিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ মোল্লা সজীবের সন্ধানে স্থানীয় চৌকিদার বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় তালতলা নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী যুবকেরা প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং পরে গুলি করে মারাত্মক আহত করে।
এ সময় তার সাথে থাকা ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে (২৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সন্ত্রাসীরা। অস্ত্রধারী যুবকেরা ঘটনা স্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা আহত দের দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
আমিনুল হক আরও জানান নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা ২০১১ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে আন্ডারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৬ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তার এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ক্ষমতাশীল দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে বলে তার বড় ভাইয়ের ধারণা।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হক জানান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা এবং কেনো এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।