তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হালিশহর, সিডিএ তে পানির জন্য হাহাকার ছিল। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহরের মানুষ এখন পানি পাচ্ছেন। পানির জন্য আন্দোলন-মিছিল করতে হয় না। দেশে কোনো পানির সংকট নেই।’
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী ঢাকা শহর গড়ে উঠবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীন 'পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প স্টেশনের' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে বন্দরনগরীতে জনগণ নিরাপদ সুপেয় পানি সংকটে ভুগেছে। প্রায় ৩৬ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা তখন ১৩-১৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করত। আওয়ামী লীগ সরকার চট্টগ্রামে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করেছে। আজকে সারা চট্টগ্রাম পানি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন:হাতিরঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর প্রকল্প নেয়া হয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
চট্টগ্রামের মেয়রের প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, শুধু মেয়র নয় চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সব দায়িত্ব একজনকে চাপিয়ে দিলে হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কিন্তু এই অগ্রাধিকারের সুযোগ আপনাদের কাজে লাগাতে হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গেটওয়ে। নদীর আশপাশে আবর্জনা পড়ে আছে, জায়গা ইজারা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি করে দখল করা হচ্ছে। যা কখনই কাম্য নয়। এটি কোনো দস্যুর দেশ নয়।’
আরও পড়ুন:বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে কাফবো, সিইউএফএল, কোরিয়া ইপিজেড, চায়না ইকোনোমিক জোন, শিল্প-কারখানাসহ পটিয়া, আনোয়ারা এবং বোয়ালখালী এলাকায় জনগণের পানির চাহিদা মিটানোর জন্য প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ৬ কোটি লিটার ক্ষমতার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমান। আশা করি প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুন মাসের শেষ করার কথা থাকলেও এর আগেই শেষ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মোসলেস উদ্দিন, চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের এমপি আবু রেজা নদভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন।
আরও পড়ুন:আমিনবাজারে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট হবে ‘গেইম চেঞ্জার’: এলজিআরডি মন্ত্রী
উল্লেখ্য, পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশনটির মাধ্যমে নগরের দক্ষিণাংশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর নিকট পানি পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে। এই বুস্টার মেশিনের মাধ্যমে দৈনিক ৪ দশমিক ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।
এর আগে, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাঙ্গুনিয়া শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।