ফরিদপুরের সালথায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহত ওই বৃদ্ধের নিজ বাড়ির পাশে একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ওলিয়ার শেখ (৬০) উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামের মৃত আদম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা
বুধবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত ওলিয়ার শেখের স্ত্রীর আলেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরীব, আমাদের বাড়ির জমি ছাড়া কোনো জমি নেই। আমার স্বামী বাড়ির পাশে ৩ শতক জমি লিজ নিয়ে বেগুনের আবাদ করেছে। আমাদের বেগুন খেতের পাশে প্রতিবেশি ইসহাক শেখের পানের বরজ রয়েছে। ওই পানের বরজে যাওয়া-আসার জন্য ইসহাক আমার স্বামীর কাছে বেগুন খেতের ভিতর দিয়ে একটি পথ বের করে দিতে বলেন। এতে আমার স্বামী রাজি না হলে তার উপর তিনি ক্ষিপ্ত হন।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি বলেন, এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ হয়েছে। কয়েকবার আমার স্বামীর উপর হামলাও করেছে ইসহাক ও তার ছেলেরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাধুহাটি গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইসহাক শেখ ও তার সহযোগীরা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে সে মারা যায়। তবে মৃত্যুর আগে আমার স্বামী ওদের নাম বলে গেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ইসহাক শেখ ও তার পরিবারের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেল সরদার বলেন, ওলিয়ার এলাকায় এক জন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি নিতান্তই গরীব। নিজের জমির উপর একটি ছাপড়া ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। তাকে কেন এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো তা বুঝতে পারছি না।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ওলিয়ার ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ৩ শতক জমি লিজ নিয়ে সবজির চাষ করেছিল। ওই সবজি খেতের ভিতর দিয়ে পথ বের করাকে কেন্দ্র করে ওলিয়ারের সাথে ও পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ইসহাকের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে ওলিয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। ওলিয়ারের শরীরে একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।