বিজয় দিবসের দিন বুধবার ভোরে শ্রীরামপুর সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন ও ৫ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহিদুল ইসলাম (২৪) শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি আহত
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের ৭-৮ জনের একটি দল ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে যায়। এ সময় রাণীনগর ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে রাখাল জাহিদুল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
জাহিদুলের মরদেহ ভারতীয় সীমান্ত অংশে দুপুর পর্যন্ত পড়ে ছিল। পরে দেড়টার দিকে ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নিয়ে যায়।
রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসের নগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আজহারুল বলেন, ‘ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
গত সেপ্টেম্বরে বিএসএফ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে নিজেদের নীতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেছিল।
সীমান্তে মৃত্যুর বিষয়ে বিজিবির উদ্বেগ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এ আশ্বাস দেয় বিএসএফ। তারা জানিয়েছিল যে নিরস্ত্র ও নিরপরাধ এবং মানবপাচারের শিকার সবাইকে বিজিবির সদস্যদের হাতে সোপর্দ করা হবে।
বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে ১৬-১৯ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছিল ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।