সদর থানা পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। ওই মামলায় ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মদ্যপানে বগুড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
থার্টি ফার্স্ট নাইট: অতিরিক্ত মদ পানে রাজশাহীতে ৩ জনের মৃত্যু
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানের পৃথক ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শহরের পুরান বগুড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত রামপদ রবিদাসের ছেলে রামনাথ রবিদাস (৫৫) নামের আরও একজন মারা গেছেন।
এর আগে গত সোমবার মৃত রামনাথের ভাই প্রেমনাথ রবিদাস (৬০) ও তার ছেলে সুমন রবিদাস (৩৮) মারা যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘অতিরিক্ত মদ পানে’ ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, বড় ভাই হাসপাতালে
মৃত অপর সাতজন হলেন- শহরের পুরান বগুড়ার লোকমান প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী মিস্ত্রি (৪৫), কাটনারপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে সাবু কুলি (৫৫), মৃত ওছিমুদ্দিনের ছেলে মোজাহার বাবুর্চি (৬৫), ফুলবাড়ী সরকার পাড়ার আব্দুল জলিল (৬০) ও তার ছেলে পলাশ (৩৫), ভবের বাজারের তবিবর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫) ও কাহালু পৌর এলাকার আবুল কালাম (৬০)।
এদিকে, শাজাহানপুরে বিষাক্ত মদপানে মেহেদি হাসান (২৫) ও আবদুল আহাদ (৩০) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মেহেদী উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামের গোলজার প্রামানিকের ছেলে এবং আহাদ উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, মৃত রঞ্জু মিয়ার ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পারুল, পুনম, খান নামের তিনটিসহ কয়েকটি হোমিও হলের নামে মামলা দিয়েছেন। অভিযুক্ত হোমিও ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ‘মদ পানে’ রুশ নাগরিকের মৃত্যু
এ দিকে, জেলার শেরপুর উপজেলা সদরে ১৭০ লিটার চোলাই মদসহ সুকুমার দত্ত (৬০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় শেরপুর পৌর শহরের সকাল বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শেরপুর পৌর শহরের শ্রীরামপুর পাড়ার সুরেশ দত্তের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুকুমার দত্ত বগুড়া শহর থেকে চোলাই মদ কিনে শেরপুরে ভাড়া করা দোকান ঘরে মজুদ করে অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছিলেন। বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে অনেক মানুষের মৃত্যুর পর পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে। এর অংশ হিসেবে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার হেফাজতে রাখা ১৭০ লিটার মদ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত মদ্যপানে ছাত্রলীগ নেতাসহ মৃত ৩
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান বলেন, সুকুমার বগুড়া শহর থেকে মদ কিনে শেরপুরে মজুদ করে বিক্রি করে আসছিলেন।