নির্যাতিত দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ মনপুরা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় আমার স্বামী ও শাশুড়ি পাশে ঢালী মার্কেটে ওয়াজ শুনতে যান। ঘরে আমি ও আমার ৩ বছরের মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘরের দরজা ভেঙে এনাম হাওলাদার প্রবেশ করে বাতি বন্ধ করে দেয়। সে ছুরি বের করে আওয়াজ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন সে আমার সাথে জোর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি এনামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘরের দরজা খুলে পাশে থাকা ভাসুরের ঘরে গিয়ে চিৎকার করি। এই সুযোগে এনাম পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনামকে দৌড়ে পালাতে আমার ভাসুরের স্ত্রী দেখেছে।’
শুক্রবার থানায় মামলা দিতে আসার সময় এনাম তার লোকজন দিয়ে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। মামলা করার পর এখন বিভিন্নভাবে সেটা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যশোরে নারীকে ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণ’
ধর্ষণ মামলায় এক বছর জেল খেটে আদালতেই বিয়ের পর জামিন
কুমিল্লায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বিতর্কিত ওই ছাত্রলীগ নেতা ২০১৮ সালে ৩১ মার্চ উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে হারিচ রোকেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে স্কুলের রুমে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন ওই শিক্ষিকা প্রশাসনের সহায়তায় থানায় মামলা করেন। তবে পুলিশের খাতায় ওই ছাত্রলীগ নেতা পলাতক থাকলেও এলাকায় রয়েছে অবাধ বিচরণ।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গৃবধূ নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত এনাম হাওলাদারকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা রয়েছে।