পৌর এলাকার বহরমপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে সোমবার রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহায়তায় অজ্ঞাত ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনার তীর থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্গাপুর পৌর এলাকার বহরমপুর গ্রামে দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের বাড়ির পাশের পুকুরে সন্ধ্যার দিকে এক নারীর লাশ ডুবতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি। এরপর তিনি থানায় খবর দিলে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত ৯টার দিকে ওই পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, বহরমপুর গ্রামের লল পুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় নিজ ঘর থেকে এক বৃদ্ধের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মানসুর রহমান (৭০)। উপজেরার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মেঘনায় বিয়ের যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি, নববূধসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, মানসুর রহমান বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যার পর গৃহকর্মী বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে চলে যান। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির ভেতর থেকে মানসুর রহমানের গোঙ্গানোর শব্দ শুনতে পান। তখন তারা গৃহকর্মীকে ডেকে এনে বাড়ির তালা খোলেন। তালা খুলে তারা ভিতরে গিয়ে গলা কাটা অবস্থায় মানসুর রহমানের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: গলা কাটা অবস্থায় রাজশাহীতে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত মানসুর রহমানের স্ত্রী ঢাকায় তার ছেলের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। জড়িতদের শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে।
ওসি জানান, মানসুর রহমানের ছেলে প্রকৌশলী। আর মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।