কঠোর লকডাউনের মধ্যেও হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। ঠাকুরগাঁও শহরের রাস্তায় রাস্তায় লকডাউনের আওতামুক্ত খোলা দোকানে ও মোটরসাইকেল আটকিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদা তুলছে মাহুত।
বুধবার নববর্ষ ও লকডাউনের প্রথম দিনে হাতি দিয়ে চাঁদা তুলতে দেখা যায় ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন সড়কে। পুলিশও হাতিটিকে কিছু বলছে না।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়েও চলছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন । গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্পটে রয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঠাকুরগাঁও শহরে হাতি দিয়ে চাঁদা তুলে বেড়াচ্ছেন মাহুত।
কখনো পথচারীর কাছে কখনো বা ওষুধের দোকান কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান থেকে সালামি নিচ্ছে হাতিটি। হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে তার পিঠে বসা আল আমিন নামে এক মাহুত।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
আল আমিনের দাবি- এটা চাঁদাবাজি নয়, সালামি। কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না। যার ইচ্ছা হচ্ছে সে খুশি মনে টাকা দিচ্ছে।
লকডাউনে যারা প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তাদের সামনে শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে হাতিটি। এরপর শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে মানুষ। যতক্ষণ না টাকা দেয়া হচ্ছে সামনে থেকে সরছে না হাতিটি। শুঁড় দিয়ে মোটরসাইকেলও আটকে দিচ্ছে হাতিটি। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ছাড়ছে না।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই হাতিটি বিভিন্ন এলাকায় পথচারী, যানবাহন ও দোকান থেকে টাকা তোলা শুরু করেছে। টাকা না দিলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকছে, যেতে দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে মানুষকে টাকা দিতে হচ্ছে।
মাহুত আলআমিন জানান, সব কিছু বন্ধ। সালামি না নিলে আমরা খাব কি, হাতিটিও খাবে কি?