আগুনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার শীতলপুস্থ বগুলা বাজার এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টাব্যাপী আগুনে ৫০টির মতো ঘর এবং একটি রাইস মিল, ফার্নিচারের দোকান ও চায়ের দোকানসহ ছয়টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে কুমিরা ও নৌবাহিনী ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করে।
আরও পড়ুন: মানুষের শত্রুতায় আগুনে প্রাণ দিল ১৫০০ মুরগি
স্থানীয়রা জানান, জালাল মেম্বারের মালিকানাধীন ভাড়া ঘর ও দোকানে আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান জালাল মেম্বার। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা কেউ জানাতে পারেননি।
রাইস মিলের মালিক মো. আলমগীর বলেন, ‘আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমার। আমার দোকানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর হলুদ, মরিচ, অন্যান্য মসলা, চাল, ডালসহ বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ল মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেমের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
দুর্বল বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এবং অসচেতনতার কারণে দেশে আগুন লাগা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে বিপুল সম্পদ হানির পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
আরও পড়ুন: বনভোজনের বাসে আগুন: প্রাণে রক্ষা পেল অর্ধশতাধিক যাত্রী
গত ১৪ জানুয়ারি কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দার দুটি ঘর, কমিউনিটি সেন্টারসহ রোহিঙ্গাদের ৪৩৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ আহত হন।
জানা যায়, ভোর রাত ৩টার দিকে শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের একটি ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর বস্তিতে পুড়ল ১০০ ঘর ও দোকান
তার আগে ১১ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকার এক টিনশেড কলোনিতে আগুনে পুড়ে স্বামী-স্ত্রীসহ চার পোশাক শ্রমিক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কবিরুল আলম জানান, সকাল পৌনে ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে আগুনে কলোনির ৪৬টি ঘর পুড়ে যায়।