বুধবার দুপুরে শিশু আদালতের বিচারক মো. আক্তারজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত রানা মিয়া (২১) নকলা উপজেলার পাঠাকাটা পূর্ব গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে।
জামিন নিয়ে পলাতক আসামি রানা মিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, রায়ে অভিযুক্ত রানা মিয়াকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দুটি পৃথক ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন (৩০ বছরের সাজা) এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
মামলার বিবরণীর বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, নকলার পাঠাকাটা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো পাঠাকাটা পূর্ব গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে রানা মিয়া। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রানা মিয়া তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃত স্কুলছাত্রীর জ্যাঠা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার ও অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ ওই বছরের ২৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে অভিযুক্ত রানা মিয়া পলাতক রয়েছে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় দেয় আদালত।