তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যখন ধারণা করেছিল বিশ্বের কোনো দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১.৩৮ থেকে ৩.৩৮ শতাংশের বেশি হবে না, তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ। এটা অভাবনীয় সাফল্য। করোনাকালেও প্রমাণিত হলো আমরা বীরের জাতি।’
মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে ‘আর্ট এগেইন্সট করোনা’ শীর্ষক মাসব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের খাবারসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাদের কথা রেখেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোতে অর্থ পাঠানো হয়েছিল। দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে।’
তৈরি পোশাক খাত নিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অর্ডার বাতিল হওয়ার পর আমাদের প্রচেষ্টায় বাতিল হওয়া অর্ডারের ৪০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে আলাপ করেছেন যাতে তারা আমাদের এ সাপ্লাই চেইন নষ্ট না করেন। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালো করছে। প্রতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. বদরুল আরেফীন ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ।