বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় আলুর দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল (বুধবার) আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি ছিল। সেটা আজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেটা ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা আশাবাদী আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে আলুর দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘আলুর বাজার অস্থির হয়েছে, দাম কমানোর চেষ্টা চলছে। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না, এটা কৃষি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। ভোক্তাদের সহযোগীতার জন্যই আমরা টিসিবির মাধ্যমে ২৫ টাকা দরে বাজারে আলু ছেড়েছি।’
আরও পড়ুন: ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করবে টিসিবি
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই তাদের সাথে সম্পর্ক আরও ভালো হোক। এখন পৃথিবীটা ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। তাই আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারতের অংশীদার হতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। পেঁয়াজ নিয়ে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাই। ভারত নিজেদের প্রয়োজনে যেকোনো সময় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করতে পারে। তবে আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছি বন্ধের এক মাস আগে যেন অন্তত আমাদের জানায়। এখন আমরা সেলফ সার্ভিসে নজর দেব।’
আরও পড়ুন: আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানিকৃত পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত আনতে খরচ পড়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। সেটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকার নিচে খুচড়া বাজারে বিক্রি করা যাবে না। আমার ধারণা আগামী বছর পর্যন্ত পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজির নিচে দাম হবে না।’