শুরুতে এগিয়ে গিয়েও চার মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ফ্রান্স ম্যাচের বাকিটা সময়জুড়ে নিজেদের খুঁজে ফিরল। তবে দলীয় ঐক্য ও সঠিক সময়ে কোচের সঠিক সিদ্ধান্তে বারবার ম্যাচের রাশ টেনে ধরে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পেন।
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
এদিন ফ্রান্সের নেওয়া ১৫টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে স্পেনের ১০টি শটের লক্ষ্যে থাকা দুটি শট থেকেই আসে গোল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে ফ্রান্স একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করলেও ম্যাচে বল দখলে সার্বিকভাবে এগিয়ে ছিল স্পেনই (৫৮ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
দলের তিন নিয়মিত সদস্যের অনুপস্থিতিতে দানি কার্ভাহালের পরিবর্তে ইউরোর সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে হেসুস নাভাসকে (৩৮) রাইট উইং ব্যাক হিসেবে মাঠে নামান লুইস দে লা ফুয়েন্তে। এছাড়া রবিন লে নরমান্দের পরিবর্তে রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক নাচো এবং পেদ্রির বদলি হিসেবে শুরুর একাদশে খেলতে নামেন দানি অলমো।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে স্পেন। বক্সের মধ্যে ডান পাশে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে দূরের পোস্টের দিকে অসাধারণ এক ক্রস বাড়ান লামিন ইয়ামাল। তবে ঠিকঠাক জায়গায় থেকেও উড়ন্ত হেডারে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বঞ্চিত করেন ফাবিয়ান রুইস।
তবে এরপরই ম্যাচে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। অষ্টম মিনিটে স্পেনর আক্রমণের কার্বন কপি থেকে গোল আদায় করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
ডান পাশে প্রতিপক্ষের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দূরের পোস্টে ক্রস দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তা থেকে হেডারে বল জালে জড়ান পিএসজি ফরোয়ার্ড কোলো মুয়ানি।
এটিই চলতি ইউরো আসরে ওপেন প্লে থেকে ফ্রান্সের প্রথম গোল। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮৭টি প্রচেষ্টার পর অবশেষে গোল পায় ফ্রান্স।