প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে তার সরকার বিএনপিকে ছাড় দেবে না।
তিনি বলেন,‘আমি তাদের (বিএনপি) বলেছি তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং করলে আমরা কিছুই বলব না। কিন্তু তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউনে যাচ্ছে। তারা যদি কাউকে আক্রমণ করে তবে আমরা তাদের রেহাই দেব না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দল সঙ্কটের মধ্যে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
হামলার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই অগ্নিসংযোগ। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা সারা বাংলাদেশে কি পরিমাণ হামলা করেছিল। তারা প্রমাণ করেছে যে তারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দোসর।
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে বিএনপি কীভাবে স্বপ্ন দেখে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে? কারণ দলটি যে কোনও দুঃসময়ে জনগণকে নামমাত্রও সাহায্য করেনি।
বিএনপি সীমা অতিক্রম করলে কারাগারে ফিরবেন খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালেদার বোন,ভাই ও বোনের স্ত্রী তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে আসেন এবং তাকে মুক্তি দেয়ার আবেদন করেন।
তিনি বলেন,‘মানবিক কারণে আমরা তাকে (খালেদা) তার বাড়িতে থাকার সুযোগ দিয়েছি,তার সাজা স্থগিত করেছি। বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে তাকে আবার জেলে পাঠাব।’
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম,অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী ও শেখ বজলুর রহমান।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, এমপি ও তার সহ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে স্মরণ করতে দিবসটি পালিত হয়। যারা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নিহত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার মাত্র তিন মাস পর এই গণহত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী