ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ঝিনুক টাওয়ারে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গত ৩ জুলাই ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ঝিনাইদহ থানা পুলিশ ৫ জুলাই আদালত থেকে মামলাটি গ্রহণ করে বলে পুলিশ বুধবার জানিয়েছে।
আসামিরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা।
অন্য চারজন হলেন- উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে লিয়াকত হোসেন (৪২), রহমত আলীর ছেলে মো. আব্দুস সাদ (৪০), মোশাররফ হোসেনের ছেলে মোকাররম হোসেন (৪৩) ও মামুন (৩০)। সবাই ঝিনুক টাওয়ারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী সাদিয়া মল্লিক (২৯) একজন ইতালীয় প্রবাসীর স্ত্রী। গত সাত মাস ধরে তিনি ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী আসামিরা বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে।
এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রায়ই ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করতেন।
এতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অন্য পাঁচজনের সহায়তায় রাতে ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
তবে সাদিয়া মল্লিকের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তিনি ঝিনাইদহ আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি