ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাও এলাকায় মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় বরসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় তাদের বহনকারী গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো চ-১৯-৫৪৬২) কান্দিগাও পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগলে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ আটজন মারা যান। চালকসহ গুরুতর আহত হন পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে সাতজন হলেন- আব্বাছ উদ্দিন (৬০), ইমন (২৬), রাব্বি, মহসিন, রাজিব, আসমা ও সুমনা (৩৫)।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুমনা নামে আরেক যাত্রী মারা যান। দুর্ঘটনার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চার যাত্রী।
নিহতদের মধ্যে চারজন হলেন- সোহান (২০), সাগর (২২), রিফাত (১৬), ইমন (১৪)।
বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ মহাসড়কের রামপুরা কালিসীমা এলাকায় নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেটগামী মাইক্রোবাস ও সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘লিমন পরিবহন’ নামে ঢাকাগামী একটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে গেলে গাড়িটির ভেতরে থাকা ১০ যাত্রীর মধ্যে ছয়জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন অপর চার যাত্রী।
দুর্ঘটনায় আহতদের মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উলাইল এলাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ট্রাক চাপায় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
নিহত আকাশ আহমেদ (২২) আশুলিয়ার আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হেল বাকী জানান, রাত ২টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে নারায়ণগঞ্জে নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন আকাশ। সেসময় একটি মালবাহী ট্রাক তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি।
ফেনীর সোনাগাজী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সাতবাড়িয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে নির্মাণাধীন সেতুর সাথে ধাক্কা লেগে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- আজিজুল হক সাহেদ (৩২) ও মোহাম্মদ বাবলু মিঞা (২৮ )। দুজনেই চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী থেকে সোনাগাজী যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নির্মাণাধীন সেতুর সাথে ধাক্কা লেগে গর্তে পড়ে যায়। এতে চালক ও আরোহীর মাথায় মারাত্মক জখম হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাহেদকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবলুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
নির্মাণাধীন সেতুর ঠিকাদারের গাফিলতি ও চালকের অসচেতনতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়।
এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহেরাবাড়ী এলাকায় শুক্রবার সকালে দুই পিকআপের সংঘর্ষে চালক ও তার সহকারী নিহত হয়েছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনায় পিকআপের আরও দুই যাত্রী আহত হন।
নিহতরা হলেন- নেত্রকোণার ঠাকুরকোনা এলাকার মানিক রবিদাসের ছেলে ও পিকআপের চালক রাজন রবিদাস (৪৫) ও নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ও চালকের সহকারী আজিম উদ্দিন (২৫)।
ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উযায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, সকাল ৮টার দিকে বিকল হয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী একটি মাছ ভর্তি পিকআপকে পেছন থেকে আসা আরেকটি মাছ ভর্তি পিকআপ ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই পিআকপের চালক রাজন ও তার সহকারী আজিম নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।