জয়পুরহাট সদর উপজেলায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ দুই মাধ্যমিক শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিখোঁজের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরিরা প্রথমে শিক্ষার্থী সনজিত (২৩) ও কিছুক্ষণ পর তন্ময়কে (১৭) ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থী সনজিত বাশফোর জয়পুরহাট শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকার শান্তিনগর মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ বাশফোরের ছেলে। সে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
তন্ময় রজক একই এলাকার পরেশ চন্দ্রের ছেলে। সে শহরের কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র, এবার এসএসসি পরীক্ষা দিতো।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষার্থী জেলা হিন্দু ছাত্র যুব পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিল ।
জয়পুরহাট সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মহীউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্যের ডুবুরির দল জয়পুরহাটের চকশ্যামের ছোট যমুনায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
তারা রাত প্রায় সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এবং অক্সিজেন (গ্যাস) সংকটের কারণে কিছু সময় বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করে।
তবে প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও ওই রাতে (বুধবার রাতে) কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ডুবুরিরা।
অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথমে সঞ্জিত ও তার আধঘন্টা পর সোয়া ১০টার দিকে তন্ময়কে ছোট যমুনা নদীর ওই দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার আনুমানিক দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার চকশ্যাম ব্রিজের কাছে ছোট যমুনা নদীতে কালী প্রতিমা (মূর্তি) বিসর্জন দিয়ে স্নান (গোসল) করার সময় এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় পাঠানো কনটেইনার থেকে লাশ উদ্ধার: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ