প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন এ তালিকা প্রকাশ করেন।
এই প্রকাশিত তালিকা আজকেই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার আবাসন নির্মাণ করবে সরকার
মন্ত্রী বলেন, আরও যাচাই বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে যাচাই বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা পরের ধাপ ৩০ জুন প্রকাশ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাজেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করতে পারবে না। যারা আগে আবেদন করে রেখেছেন তারা শুধু রিভিউ ও আপিল করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণশহীদদের কীভাবে সম্মানিত করা যায় সেটা আমরা ভাবছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা গ্যাজেট তালিকা ইতোমধ্যেই বাতিল কার হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে হবে ২০ হাজার টাকা: প্রধানমন্ত্রী
‘সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যাজেট প্রকাশটা বিতর্কিত ছিল। তবে তাদের ভাতা এখনও চালু আছে। বাহিনীর মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারা যাচাই বাছাই চলছে। আমাদের ধারণা ৮-১০ হাজার সঠিক মুক্তিযাদ্ধা হবে এবং ৫-৭ হাজার কোন যুদ্ধই করেনি,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকাশিত তালিকায় যদি কারও কোন তথ্যে মিল না থাকে তাহলে ভাতা পেতে বিভ্রান্ত হতে পারে। সেজন্য আমরা একবছর যাচাই বাছাই করেছি। শতবাগ নির্ভুল করার জন্য সময় নিয়েছি। তারপরও ভুল থাকতে পারে। তবে সেই ভুল তেমন বড় কোন কিছু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ জনের নাম প্রকাশ করা হল। বাকিদের যাচাই বাছাই করে মোট ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হবে না।’
তালিকায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাকের নাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাকের নামসহ এই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্তু অপকর্মসহ যেমন বঙ্গবন্ধুর খুনের সহযোগিতা ও খুনি হিসেবে তাদের নামের পাশে তাদের কর্ম উল্লেখ থাকবে।
‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি যার যার অর্জন। সেটা কেউ বাতিল করতে পারবে না। তবে তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। খেতাবটা একটি সম্মান। সেটি যেকোন সরকার সম্মান দিতে পারেন, আবার চাইলে যেকোন অপারাধের জন্য ফিরিয়ে আনতে পারেন,’ বলেন মন্ত্রী।