করোনা সংক্রমণের বেশ কিছু নিয়ম মেনে প্রায় ১৮ মাস পর আগামীকাল রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে চালু হতে চলেছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চলতি মাসের শুরুতে ক্লাসরুমের পাঠদান পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল প্রাঙ্গণে স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করা ছাড়াও ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাসের রুটিন ও অন্যান্য নির্দেশনাবলী অনলাইনে প্রকাশ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) আগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থাকার কথা, সেটি আমরা তৈরি করছিও। যেখানে ছোটখাটো প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটাও ৯ তারিখের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ৯ তারিখে আমাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দেখবেন। পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি আছে কিনা, তা-ই দেখবেন তারা।
দীপু মনি বলেন, শুরুতে ২০২১ সাল এবং পরের বছর ২০২২ সালের যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস এবং মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে একদিন।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
এসএসসি, এইচএসসি ও ৫ম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন, অন্যদের একদিন
মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণির ক্লাস একদিন থেকে ২-৩ দিনে নেয়া হবে। পরে প্রতিদিন ক্লাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের সাথে আমিও বসবো। টিকার বিষয় আছে, হয়তো অক্টোবরে তারা শুরু করতে পারে।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।