হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘সেই সময় ক্ষমতায় থাকা বিএনপি-জামায়াত জোটের মদদ ছাড়া দিনে-দুপুরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।’
আওয়ামী লীগ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২১ আগস্ট হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শেখ হাসিনা জানান, ওই হামলায় তার বেঁচে থাকার কথা ছিল না এবং এমনকি তখনকার সরকারও সেটাই মনে করেছিল। ‘আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। তারাও (সরকার) ধারণা করেনি যে আমি বেঁচে যাব। আমি অনেক কিছু জানি। যারা হামলা চালিয়েছিল তারা এক জায়গায় আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল যে আমি মারা গেছি কি না।’
‘খালেদা জিয়াও (তখনকার প্রধানমন্ত্রী) সম্ভবত শোক বার্তা তৈরি করে রেখেছিলেন যাতে আমার মৃত্যুর পরই তা দিতে পারেন,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সাহারা খাতুন, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাজধানী বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অধীনে একটি এবং হত্যার জন্য আরেকটি মামলা।
সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।