আরও পড়ুন: হয়রানি বন্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটা মালিকদের বিক্ষোভ
উপজেলা রংপুর ইউনিয়নের বিলডাকাতিয়ার বিলাঞ্চল হতে উৎপত্তি শোলমারি নদীটি বটিয়াঘাটা উপজেলার প্রবাহমান কাজীবাছা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আর ৩০ মিটার প্রস্থের নদীটি মানবসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতায় ক্রমন্বযে নিস্তেজ হতে বসেছে। অবৈধ দখলদাররা পাল্লা দিয়ে নদী ভরাট শুরু করেছে। কৈয়া থেকে শোলমারি ১০ ভেন্টের স্লুইচ গেট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার নদীর দু’পাশ দিয়ে বড় বড় রাঘববোয়ালরা অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। পঞ্চু ও শোলমারি স্লুইচ গেটের মুখে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ আধলা ইট ফেলে ভরাট করেছে।
আরও পড়ুন: লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা: পাইকগাছায় স্থানীয়দের নাভিশ্বাস
স্থানীয় মুদি দোকানদার মঞ্জু বলেন, ‘এসবি ভাটা কর্তৃপক্ষ নদীতে ইট ফেলে গেটের সামনে ভরাট করে ফেলেছে। তারা যেখানে কয়লার ঘর করেছে, সেটা সম্পূর্ণ নদীর জায়গায়।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৬টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
শোলমারি গেট খালাসি মোমিন মোল্যা বলেন, ‘এসবি ভাটা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে নিয়েছে। শুধু নদীই নয়, তারা গেট খালাসির ঘরও ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।’
ভদ্রা-সালতা পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খান এনামুল হোসেন জানান, অবৈধ দখলদারদের কারণে শোলমারি নদীটি নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। নদীর প্রস্থসহ গভীরতা কমে যাওয়াতে পানি নিষ্কাশনে ব্যাপক বাঁধা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব অবৈধদখল উচ্ছেদ করে নদী পুনঃখননের একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে অবৈধ ইটভাটাকে লাখ টাকা জরিমানা
অভিযুক্ত এসবি ব্রিকসের ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ভাঙনরোধে আমরা নদীতে ইটের আধলা ফেলেছি। তা না হলে আমাদের অনেক জায়গা নদীতে চলে যেত।’
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা বিভাগীয় উপপ্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান বলেন, শোলমারি নদী দিয়ে ২৮/১, ২৮/২, ২৭/১, ২৭/২সহ ৫টি পোল্ডারের পানি নিষ্কাশন হয়। এখানে প্রায় ৫ হাজার একর কৃষি জমি রয়েছে। সময়মতো পানি নিষ্কাশন না হলে এসব জমি অনাবাদি হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা সাতদিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
তিনি জানান, রাবেয়া ও এসবি ব্রিকসসহ শোলমারি নদীর জায়গা যারাই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন, তাদের তালিকা করে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে সমন্বিত অভিযান শুরু করা হবে।