আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণের আয়োজন
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরাইল-অরুয়াইল সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। গত অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে ওই সড়কের সরাইল সদর থেকে চুন্টা ইউনিয়ন পর্যন্ত আট কিলোমিটার ও কালিশিমুল এলাকা থেকে অরুয়াইল ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত চার কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু সড়কের মাঝখানের হাওর এলাকা চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর গ্রাম থেকে পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর গ্রামের বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার জরাজীর্ণ অবস্থায়ই থেকে যায়। এরপর আর কার্পেটিং বা সংস্কার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ করায় সিডিএকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা
পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, সড়কের মাঝ প্রান্তে দুই কিলোমিটার জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল করলেও রোগীদের আনা-নেয়ায় পোহাতে হয় বিরাট ঝামেলা। এই সড়ক দিয়ে সময় মতো রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারায় মৃত্যুর ঘটনাসহ প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসবের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
তাদের অভিযোগ, ভাঙাচোরা এই সড়কের একাংশ দিয়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছেন। এছাড়া ফসল কাটার মৌসুমে গ্রামের মানুষ হাওর থেকে তাদের ফসল পরিবহন করতে পারেন না, এমনকি এলাকার কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: মাটির কারণে সড়ক নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় ভারত-চীনের চেয়ে বেশি: কাদের
পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল মনে করেন আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সড়কের ওই অংশের কাজ সমাপ্ত করতে হবে; তা না হলে বর্ষার পানিতে সড়কটি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘সরাইল-অরুয়াইল রাস্তাটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। এটি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রাস্তা। কিন্তু রাস্তার মাঝখানের প্রায় দুই কিলোমিটার সংস্কার না করায় লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।’
সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, ‘সরাইল-অরুয়াইল রাস্তার প্রায় দুই কিলোমিটার সংস্কার কাজ বাকি রয়েছে। এইটুকু ডিজাইন সিটে রয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে সব জানিয়েছি এবং সব পাঠিয়ে দিয়েছি। বিল পাস হলে অতি শিগগিরই কাজ করানো হবে।’
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সরাইল-অরুয়াইল রাস্তার ব্যাপারে সব কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি বিল পাস হলে আমরা কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করতে পারব।’
আরও পড়ুন: মাটির কারণে সড়ক নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় ভারত-চীনের চেয়ে বেশি: কাদের
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল জানান, রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কিছুদিন আগে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সময়ে এর বাকি অংশের সংস্কার করা হবে।