ডব্লিউএইচওর নিয়মিত পাক্ষিক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় মহামারির মোকাবিলার সর্বশেষ প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানিয়েছেন সংস্থার প্রদান। খবর ইউএন নিউজের।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও বেড়েছে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য
ফাইজারের পর মর্ডানার ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দিল ইউরোপীয় কমিশন
মেক্সিকোতে জরুরি ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে অনুমোদন
সহযোগিতা জোরদার করতে এবং অ্যাক্ট এক্সিলারেটর প্রোগ্রামের আওতায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জি-৭ এর নেতাদের দেয়া ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় টিকা, রোগ নির্ণয় এবং থেরাপির ন্যায়সঙ্গত বিতরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোভ্যাক্স কাজ করছে জানিয়ে তেদরোস গত সপ্তাহে ইইউভুক্ত দেশগুলো অতিরিক্ত ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়া প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও এক ধাপ এগিয়ে
তেদরোস বলেন, ‘এই তহবিল এবং অনুদান কারণে এ পদক্ষেপ আরও এক ধাপ এগিয়েছে। এর মাধ্যমে বছরের প্রথম ১০০ দিনে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে যুক্তরাজ্যের যাত্রীদের
তবে সব দেশকে পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থের যোগনই একমাত্র চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে যদি কোনও টিকাই না থাকে তবে অর্থ দিয়ে কিছু হবে না। বর্তমানে, টিকা প্রস্তুতকারীরা কিছু ধনী দেশের সাথে চুক্তি করছে যারা কোভ্যাক্সের সাথেও চুক্তি করেছিল। এর পরে তারা কোভ্যাক্সের কেনা টিকার ডোজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: নেগেটিভ সনদ না থাকায় ভারতফেরত ৩৩ জন কোয়ারেন্টাইনে
‘আমাদের তহবিল থাকলেও আমরা কেবল তখনই দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করতে পারব যখন ধনী দেশগুলো যেসব নতুন চুক্তি করছে তাতে কোভ্যাক্স চুক্তির প্রতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে। এটি দাতব্য বিষয় নয়, এর সাথে মহামারি মোকাবিলা জড়িত।
অর্থের তারতম্য অব্যাহত
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, অ্যাক্ট এক্সিলারেটর প্রোগ্রামের অর্থায়নের ক্ষেত্রে এখনও ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা দেয়া শুরু করেছে ইইউ
সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে টিকার প্রথম ডোজ পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করতে আমাদের আরও বেশি তহবিল দরকার। শিগগিরই বিভিন্ন দেশে টিকা ডোজ পোঁছে দেয়া দরকার। টিকা প্রস্তুতকারীদের কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন এবং ভ্যাকসিনের উত্পাদন উল্লেখযোগ্য পরিমানে বাড়ানো দরকার, বলেন তেদরোস।