জেরুজালেম, ২১ মে (এপি/ইউএনবি)- গাজা উপত্যকায় ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। এই সংঘর্ষে দুই শতাধিক মানুষ মারা যাবার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির আনন্দে অনেক ফিলিস্তিনিই ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে বলতে রাস্তায় নেমে আসেন।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
এই দুই শত্রু পক্ষের মধ্যকার পূর্বের তিনটি যুদ্ধের মতোই এবারও কোনও ফলাফল ছাড়াই যুদ্ধ শেষ হল। ইসরায়েল দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে সাধন হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো হামাসের রকেট হামলা থামাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল।
এদিকে হামলা বন্ধের পরপরই ইসরায়েলি ডান-পন্থিরা প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমালোচনা করেন। তাদের মতে সঠিক সময়ের আগেই হামলা বন্ধ করেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজা শহরজুড়ে ইসরায়েলের আরও বোমা হামলা
এদিকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিজেদের এই যুদ্ধে জয়ী বলে দাবি করছে। কিন্তু তাদেরকে এবার নতুন শহরের স্থাপনা তৈরি, দারিদ্র, করোনাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকবিলা করতে হবে।
ইসরায়েলের রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা জানায় তারা মিশরের দেয়া যুদ্ধবিরতির সুপারিশ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অর্জন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনের ইসরায়েলি পুলিশের হামলার প্রতিবাদে গত ১০ মে রাত থেকে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। আর এরপর থেকেই ইসরায়েল ও হামাস সংঘর্ষ চলতেই থাকে।
পবিত্র শহর জেরুজালেম নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বেশ কয়েকটি যুদ্ধও এই শহরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়।
এই যুদ্ধে হামাস ও অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ছোড়া ৪ হাজারের অধিক রকেট হামলা ইসরায়েল সাধারণ জীবনযাত্র ব্যাহত করতে বেশ প্রভাব ফেলে। এমনকি তেল আবিব শহর পর্যন্তও হামলার রেশ পৌঁছায়।