নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে মেয়েদের বোরকা (মুসলিম নারীদের পরা আপাদমস্তক ঢেকে রাখা নির্দিষ্ট ঢিলেঢালা পোশাক) পরা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সে ১৯ শতকের সকল আইন রদ করা হয়েছে এবং দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা থেকে গোঁড়া ক্যাথলিক প্রভাব দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।
তাই দেশটির সরকারি স্কুলে ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী সবকিছু কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যার জন্য তারা আধুনিক আইন প্রণয়নে সমস্যায় পড়ছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
আল-জাজিরার তথ্যমতে, ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে খ্রিষ্টানদের ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পা অথবা মুসলমানদের হেডস্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ।
ফরাসি সরকার ২০০৪ ও ২০১০ সালে জনপরিসরে মুসলিম নারীদের পুরো মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্ত দেশটির পাঁচ মিলিয়ন মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ফ্রান্সের টিএফ১- টিভিকে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের কথা বলা হয়েছে।
যেখানে শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্কুলে আর বোরখা পড়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের কে কোন ধর্মের তা আলাদাভাবে চোখে পরা ঠিক নয়। সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হলেও এতদিন বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়নি।
ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) অনুসারে, পোশাক শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয় নয়।
সিএফসিএম একটি জাতীয় সংগঠন, যা অনেকগুলো মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: নারীরা বোরকা না পরলে জেল হতে পারে পুরুষদের!
সুইজারল্যান্ডে মুসলিমদের বোরকা-নিকাব পরা নিষিদ্ধের পক্ষে রায়