বিএনপি তাদের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
এছাড়া অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৭ ও ১৯ আগস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ, লুটেরা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করা হবে।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট একই দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে।
গত ৯ আগস্ট বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটকারী ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল ভূয়া ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
খালেদার চিকিৎসার জন্য কর্মসূচি
রিজভী বলেন, খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তাদের দল ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে এবং ১৯ আগস্ট মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মিছিল করবে।
এছাড়াও, তিনি বলেন, খালেদার দ্রুত রোগমুক্তির জন্য তাদের দলের পক্ষ থেকে বুধবার তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বয়স এবং মানবিক কারণে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপি প্রধানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক