সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
প্যারোলে বিএনপি প্রধানের মুক্তি বিষয়ে তার দলের সাথে পর্দার আড়ালে সরকারের কোনো সমঝোতা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন যে ‘না, কোনো গোপন কিছু নেই।’
যে মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে তা রাজনৈতিক মামলা না হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার বার একটি কথা বলার চেষ্টা করছি- খালেদা জিয়ার জামিন আদালতের এখতিয়ার। এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। এটি দুর্নীতির মামলা।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি বিদেশিদের কাছে বিএনপির তুলে ধরা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। খালেদা জিয়ার বিষয়ে তারা নিয়ম-কানুনের বাইরে কোনো চাপ দিতে চাইলে মেনে নেব না। এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি মনে করি না তারা আমাদের চাপ দেবেন।’
আরেক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির জন্য বিএনপি কোনো আবেদন করেনি। তারা আবেদন করলেও তার নিয়ম আছে। আবেদন যুক্তিযুক্ত কি না তা দেখা হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে ফোনালাপ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব আমার সাথে কথা বলতেই পারেন। খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করতেই পারেন। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বলার জন্য। এটি কোনো ভুল কিছু না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। তিনি আমাকে কিছু জানাননি।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির উপায় নিয়ে তার দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ বলেন, আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন, কেউ বা বলেন মানবিক কারণে মুক্তি চাই। আসলে তাদের ঠিক করতে হবে কীভাবে মুক্তি চায়।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। পরে একই বছরে আরেকটি দুর্নীতির মামলায় সাজা পান তিনি। যদিও তার দল বলছে মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।