বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, কারণ এটি জনগণের টাকায় নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বড়াই করছেন। আমরা বলতে চাই পদ্মা সেতু আপনাদের একার নয় এবং এটি আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।’
সোমবার পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এই সমাবেশে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ ও করদাতাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষ জানতে চায় পদ্মা সেতু নির্মাণে আপনি মানুষের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন এবং কত খরচ করেছেন। তারা আরও জানতে চায়, আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে কত টাকা পকেটস্থ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য যে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়েছিল তা পরিশোধ করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে কত টাকা ব্যয় করতে হবে তাও জনগণ জানতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দিনমজুর শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা এখন কঠিন।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের রোষানল এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিজের বাসভবনে আবদ্ধ রয়েছেন। ‘আপনি মানুষকে ভয় পান। এইজন্য আপনি মানুষের সামনে আসেন না।’
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস ও জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে ফখরুল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি