বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বুধবার বলেছেন, মার্চ মাসের শুরু থেকেই মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বক্তব্যের মাধ্যমে হেফাজতকে উসকে দিচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান দেখে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘গতকালও মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের পতন হয়ে যাবে। তারা যে সরকারের পতন হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করছেন, কোন আশায়-কিসের উপর ভিত্তি করে? বিএনপির নিজেদের এমন কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই, যার উপর ভিত্তি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে, তাহলে তারা কেন ভাবছে সরকারের পতন হবে? নিজেদের সক্ষমতা নেই, তারা এখন ধর্ম ব্যবসায়ী হেফাজত ও জামাতিদের মাথায় ভর করছে। তারা ভর করছে বলেই এ ধরনের কথা বলছে।’
হানিফ আরও বলেন, গান পাউডার হেফাজতিদের কাছে থাকার কথা না, সাধারণ মানুষের কাছে থাকার কথা না। এই গান পাউডার ১৯৭১ সালে রাজাকার-আলবদর ও জামাতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার করতে দেখেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতায় গান পাউডারের ব্যবহার দেখে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত-বিএনপি। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি, হেফাজত ও জামায়াত মিলিতভাবে এই নাশকতা করেছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা এখন দৃশ্যমান হয়েছে। দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, বিশেষ করে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে তাতে ৬৫টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ‘বাংলাদেশ এক সময় মিসকিন রাষ্ট্র ছিল, ব্যর্থ রাষ্ট্র ছিল, সেই রাষ্ট্র আজ সকলের কাছে অনুকরণীয়। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আপনারা দেখেছেন প্রতিটি দেশের সরকার প্রধান কি বার্তা দিয়েছে, কি প্রশংসা করেছে। এসব স্বাধীনতাবিরোধী পরাশক্তি ও তাদের প্রেতাত্মাদের পছন্দ হয়নি। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা সমাজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে,’ বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও হাটহাজারীতে যে তাণ্ডব হয়েছে তাতে হেফাজতে ইসলাম নামে ধর্ম ব্যবসায়ী দল তারাই শুধু ছিল না, এর পেছনে বিএনপি ও জামায়াত সম্পৃক্ত ছিল তা প্রমাণিত। ছাত্রদলের ক্যাডাররা বোমা ফাটিয়েছে। এর মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্টতা কেন?, প্রশ্ন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হানিফকে নিয়ে কটূক্তি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কলেজশিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানাব। বিএনপি, জামায়াত বা হেফাজত যেই করুক, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করে জানাতে হবে স্বাধীন রাষ্ট্রে এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করা যাবে না।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।