একই সাথে তাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে তারেক রহমানের ২ বছরের কারাদণ্ড
মামলায় অপর আসামি আরেক কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অপরাধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনকে কারাদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক, কুষ্টিয়ার সাবেক উপসহকারী পরিচালক শাহার আলী বাদী হয়ে ৬৩ হাজার ২০০ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাবেক কোর্ট পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদার ও অপর সাবেক কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:ভেজাল দুধ তৈরি, মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া আদালতের সদর জিআর ২৬/১০ মামলায় বিজ্ঞ আদালত ৪৩ হাজার এবং সদর জিআর ৬/১০ মামলার ২০ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে। পরবর্তীতে ওই সময় কর্মরত কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার সদর জিআর ২৬/১০ মামলায় ৪৩ হাজার টাকার পরিবর্তে মাত্র ৩ হাজার টাকা এবং সদর জিআর ৬/১০ মামলার ২০ হাজার ২০০ টাকার স্থলে মাত্র ২০০ টাকার চালান জমা করে আদালতে সমুদয় টাকা জমা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংক এবং ট্রেজারিতে সরেজমিনে খোঁজ নেয়া হলে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
আরও পড়ুন:নাচোলে সরকারি চালসহ আটক ব্যক্তির কারাদণ্ড
মামলার কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের পক্ষ থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার এবং অপর কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়। মামলা দায়েরের পর আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
সোমবার বিজ্ঞ আদালত দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে উক্ত দণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।