শনিবার দুপুরে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে দুজন হোস্টেল সুপারকে যুক্ত করা হয়।
কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমদ বলেন, কমিটির সদস্যরা ছাত্রদের ছাত্রাবাসে অবস্থানের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজন ব্যতীত বাকিরা বহিরাগত। বর্তমান ছাত্রের বিষয়ে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করব তার ছাত্রত্ব বাতিলের। এছাড়া অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষ যতটুকু সহযোগিতা করার করবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল হোস্টেলের দুই নিরাপত্তারক্ষী সবুজ আহমদ রুহান ও রাসেল উদ্দিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে তরুণীকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা-কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকালে প্রাইভেটকারযোগে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে যান। পরে কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা-কর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় শনিবার ভোরে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী। এছাড়া ছাত্রাবাসে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারীদের ধরতে শনিবার ভোররাতে অভিযানে ছাত্রাবাসে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ ও প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়।