কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রযেছে। এর পাশাপাশি প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন।
এদিকে, ধরলার পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ধরলা অববাহিকার দুটি উপজেলার ৩৫ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় কুড়িগ্রামে ভোগান্তি চরমে
অপরদিকে, ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদী পশুর খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। পানিবন্দির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ২০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বাঁধে ও নৌকায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। একই সাথে গবাদী পশুও দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পুরাতন অনন্তপুরে নদের পানি বিকল্প বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ত্রাণের অপেক্ষা করছে হাজারো বন্যার্ত মানুষ।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, প্রথম দফায় ৬০০ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও আরও প্রায় ২ হাজার পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেয়া দরকার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বন্যার পানিতে রাস্তা ডুবে জনদুর্ভোগ চরমে
কুড়িগ্রামের ত্রাণ অফিস সূত্র জানায়, বন্যার্তদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকাবরাদ্দ করা হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে।