আসামি ফোরকান উদ্দিন পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের মৃত তোফায়েল উদ্দিন খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার অভিযোগে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মো. মশিউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: হত্যার দায়ে ফেনী ও পিরোজপুরে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মো. মজিবুর রহমান সরকারের মেয়ে নিহত মর্জিনা বেগম ওরফে বিথির সাথে পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের আসামি ফোরকান উদ্দিন ওরফে সাকিল খানের বিয়ে হয়। মর্জিনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে, তার আগের ঘরের পাঁচ বছর বয়সী মো. মোস্তফিজুর নামে একটি ছেলে ছিল। সেও তাদের সাথে থাকত। পেশায় বাবুর্চি ফোরকান ও মর্জিনা লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথ পুর গ্রামের খলির শেখের বাড়ি ভাড়া থাকত। ২০১৫ সালে ১১ অক্টোবর আসামি ও নিহত মর্জিনা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে বাড়ির মালিক খলির শেখ তার ভাড়া ঘরে মর্জিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। এরপর খবর পেয়ে নিহতের মামলার বাদী মো. মজিবর রহমান গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে লাশ বুঝিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নবী হোসেন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে নিহতের ছেলে পাঁচ বছর বয়সী মো. মোস্তফিজুর জানায়, আসামি ফোরকান তার মাকে বটি, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনার দুদিন পর ১৩ অক্টোবর থানায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি আসামি ফোরকানকে গ্রেপ্তার করে এবং আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
বিজ্ঞ বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্য হত্যা, নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড