গত দু'দিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে স্থানীয় মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যার কারণে রাস্তা, ঘর, বীজতলা ও স্কুল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ বন্যার পানিতে পড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি) মঙ্গলবার জানিয়েছে, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সমস্ত নদ-নদীর পানির স্তর আবারও বেড়েছে। তবে বিপদসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত ধরলা নদীর পানির স্তর ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
শেরপুরে, ভারী বর্ষণ এবং সীমান্তের পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার আহমেদনগর-দিঘিরপাড় সড়কে প্রায় ৮২ ফুট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নদীর বাঁধের পথচারীদের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত রাস্তাটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ফলস্বরূপ, সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং প্রায় ৩০০০ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানির স্তর বেড়েছে ৩১ সেন্টিমিটার এবং নিম্নাঞ্চলগুলো ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। বিডব্লিউডিবি’র প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
জেলার বেশ কয়েকটি হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানির নিচ তলিয়ে গেছে।
গত বছর জুন থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহে বন্যার ফলে সারা দেশে মোট ১৫৯টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বন্যায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও নওগাঁর লোকজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।