শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকাল ৩টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে তাদের নিয়ে রওনা দিয়েছে ৩০টি বাস। এসব বাসে প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
‘চল চল ভাসানচর চল’ স্টিকারযুক্ত ৩০টি বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামে। সেখান থেকে নৌপথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শনিবার সকালে জাহাজে করে তাদের পাঠানো হবে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা বলেন, ‘তৃতীয় দফায় (প্রথম অংশের) এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছেন। এছাড়া একই দিন ৩০টি বাসে করে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছেন। তারা রাতে চট্টগ্রামে থাকবেন এবং শনিবার সকালে জাহাজে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।’
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রোহিঙ্গারা সপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। তারা শুক্রবার দুপুরে বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আলহামদুলিল্লাহ, ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধায় সন্তুষ্ট’: এক রোহিঙ্গার অনুভূতি
সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজ সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে বাসে ওঠা নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছানোর পরে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় শনিবার তাদের জাহাজে তোলা হবে। একইদিন তারা ভাসানচরে পৌঁছাবেন।
এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা হাসিমুখে ভাসানচরে পৌঁছায়। দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৪ জনকে ভাসানচরে নেয়া হয়। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে এক হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা নতুন করে ভাসানচরে পৌঁছান। এছাড়া অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার। তারাও সেখানে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে উদ্বেগের কিছু নেই, জাতিসংঘকে জানাল বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা স্থানান্তরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে ঢাকার আহ্বান
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাথে ১০ কোটি ডলারের অনুদান চুক্তি
রোহিঙ্গা সংকট: দ্বন্দ্ব নয়, শান্তিপূর্ণ সমাধান চান প্রধানমন্ত্রী