চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রেনের সংর্ঘষের ঘটনায় আহত আরও এক যুবক মারা গেছেন। টানা সাতদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের নাম তাসফির হাসান (২১)।
এ নিয়ে মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে পৌঁছেছে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, প্রথম থেকেই তাসফিরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম ছিল। তাই তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। আমাদের প্রথম থেকেই শঙ্কা ছিল তাকে নিয়ে। কারণ দুর্ঘটনায় তার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত পায়। এর পর থেকে জ্ঞান ফেরেনি তার। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। আজ সকাল থেকে তার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। দুপুরের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাতজনকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালে।
ঘটনার দিন সকালে জেলার হাটহাজারী থেকে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষকসহ মোট ১৮ জনের একটি দল মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ী এলাকা খৈয়াছড়া ঝরণা দেখতে যায়। দুপুরে ফেরার পথে ঢাকা -চট্টগ্রাম রেলক্রসিং অতিক্রমকালে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা যান।